সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাখিমারা হাওরে দিনব্যাপী নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) পশ্চিম বীর গাঁও যুব সমাজের উদ্যোগে দিন ব্যাপি এ নৌকা বাইচ প্রতিযোগী হয়।
নৌকা বাইছ প্রতিযোগীতায় জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও গ্রাম থেকে প্রায় ১০ টি নৌকা অংশ গ্রহণ করে।
নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা দেখতে সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে নারী পুরুষ, কিশোর- কিশোরীসহ প্রায় ১০ হাজার মানুষ সমবেত হয়েছেন। মন খুলে নেচে-গেয়ে উপভোগ করছেন নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা।
নৌকা বাইচে অংশ নেয়ার জন্য নৌকায় থাকা মাঝি মাল্লারা গান গেয়ে কড়তাল বাজিয়ে এসে জড়ো হন পাখি মারা হাওরে।
কোন মিস্ত্ররী নাও বানাইলো, কেমন দেখা যায়, ঝিলমিল ঝিলমিল করে রে ময়ূরপঙ্খী নাও…।
বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের এমন গানের সুরে সুরে প্রতিধ্বনিতে পশ্চিম বীর গাঁও গ্রামের পাখিমারা হাওরে নৌকা বাইছ প্রতিযোগীতা হয়।
আকর্ষণীয় সাজে লগি-বৈঠা সহ সোনার তরী, বীর পবন ও বীর বাংলা বাহারী নাম উল্লেখ করে সুনামগঞ্জে বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রায় ১০ টি নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতায় অংশ নেয়। তাদের সেই প্রতিযোগীতা দেখতে পুরো হাওরের পাড় জুড়ে ছিল শিশু,কিশোর,নারী পুরুষসহ ১০ হাজারের বেশি মানুষের উপচেপড়া ভিড়।
নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতা দেখতে আসা জহুর মিয়া জানান, সত্যি খুব আনন্দ লাগছে। আমরা চাই গ্রাম বাংলার এই এতিহ্য নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতা যেন প্রতি বছর আয়োজন করা হয়।
নৌকা বাইছ আয়োজন কমিটির সদস্য শহীদনূর আহমেদ বলেন, নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা সময়ের ব্যবধানে হারিয়ে যাচ্ছে। সেই জন্য আমরা গ্রামবাসী প্রতিযোগীতার মাধ্যমে এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখার চেষ্টা করছি।
প্রতিযোগীতা ১০টি অংশগ্রহণকারী নৌকার মধ্যে প্রথম স্হান লাভকারী সোনার তরী নৌকাকে পুরস্কার হিসেবে একটি মোটরসাইকেল, দ্বিতীয় স্হান লাভকারী বীর পবনকে একটি ফ্রিজ ও তৃতীয় স্থান লাভকারী স্বপ্নের তরীকে নৌকাকে একটি স্মার্ট টিভি প্রদান করা হয়েছে।